কুষ্টিয়ার মিরপুরে গতকাল (রবিবার) দুপুরে ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় জমির উদ্দিন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় হামলাকারী ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি অনিককে তার দুই সহযোগী সহ গ্রেফতার করেছেমিরপুর থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার(১ জুলাই) ভোরে মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)আব্দুল আজিজ সঙ্গীয় ফোর্স উপজেলার আমবাড়িয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অনিক(২৩) উপজেলার আমলা ইউনিয়নের মিটন গ্রামের সোনা খানের পুত্র। গ্রেফতারকৃত অপর দুইজন হচ্ছে একই গ্রামের ফারুকের পুত্র নাইম(২৪) ও নিমাই খানের পুত্র নাইম(২৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে মিটন গ্রামের সোনা খানের পুত্র অনিক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে আমলা ইউনিয়নের মিটন এলাকার ঈদগাহের সামনে একই গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র জমিরউদ্দীনের উপর হামলা চালায়। হামলায় তিনি গুরুতর আহত হলে সে অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আর এমও) হোসেন ইমাম জানান- হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।এলাকাবাসী জানান, প্রায় দেড় বছর আগে অনিকের ওপরে হামলা চালিয়ে হাত ভেঙে দেন জমির উদ্দিন। ওই হামলার বদলা নিতেই এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের ধারণা। এ বিষয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ওই ব্যক্তিকে হাতুড়ি ও হকস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।