মানুষের সেবা ও কল্যাণে নিবেদিত হয়ে কাজ করাটই বড় ইবাদত। জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে এই কাজটি করে আসছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী কুষ্টিয়ার মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে জেলাকে মাদক, সন্ত্রাস ও অস্ত্রমুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। জেলার বন্ধ বৃহত্তর শিল্প কারখানাগুলোকে পুনরায় চালুর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও অথনৈতিকভাবে লাভবান করার উদ্যোগ নেয়া হবে। গতকাল বুধবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে জামায়াত নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরার সদস্য ও যশোর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যক্ষ খন্দকার এ. কে.এম আলী মুহসিন। কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের প্রচার মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক ও কুষ্টিয়া শহর জামায়াতের আমীর এনামুল হকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আব্দুল গফুর, ইসলামি চিন্তাবিদ ও জামায়াত মনোনীত কুষ্টিয়া সদর-৩ সদর আসনের প্রার্থী হাফেজ
মাওলানা মুফতি আমীর হামজা, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজা উদ্দিন জোয়ারদার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, দৌলতপুর উপজেলা আমীর ও জামায়াত মনোনীত কুষ্টিয়া-১ আসনের প্রার্থী উপাধ্যক্ষ বেলাল উদ্দীন, কুষ্টিয়া-৪ আসনের প্রার্থী আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর, সাধারণ সম্পাদক আবু মনি জুবায়েদ রিপন, সমকাল ও ডিবিসি নিউজের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ রানা, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান
প্রমুখ। জামায়াতের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের বলেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু হলে ভোটারদের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটবে, সেই সাথে সংখ্যালঘু ও নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন তাদের বিচক্ষনতায় দেশের অনেক অন্যায় জনসম্মুখে চলে আসে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন এই নির্বাচন বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা রাখি। জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন- কুষ্টিয়ার ৪টি নির্বাচনী আসনে জামায়াতের প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে অনেক আগেই। ইতিমধ্যে প্রার্থীরা এলাকার মানুষের সাথে মিলে মিশে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলার ৪টি আসনে জামায়াতের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে- দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী-রামকৃষ্ণপুর এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে সড়ক নির্মাণ করা হবে। এই সীমান্ত দিয়ে মাদক, অস্ত্র ও ভারতীয় অবৈধভাবে মালামাল প্রবেশ বন্ধ করা হবে। কুষ্টিয়া চিনিকল ও মোহিনী মিলকে চালু করে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। কুমারখালীর তাঁত শিল্পকে বিশ্বের মাঝে ভিন্নরুপে পরিচিত করা হবে। কুমারখালী ও খোকসাকে সাংস্কৃতিক বলয়ে রুপায়িত করা হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ক্ষমতায় গেলে জামায়াতের সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রের প্রতিটি সম্পদের কনায় কনায় হিসাব
দিবেন। সরকারী দেয়া সকল সুযোগ সুবিধা জনগনের সেবাই উম্মুক্ত করা হবে। সরকারের অনুদান নির্দিষ্ট প্রয়োজনে ব্যয় করা হবে। অপচয়রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সমতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা হলে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের অধিকার সুরক্ষা থাকবে এবং সকলে সুফল পাবে। এসময় কুষ্টিয়ার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।